দখিনের খবর ডেস্ক ॥ ভোলার চরফ্যাসনের দক্ষিণ আইচা থানার চরমানিকা ইউনিয়নে সুদের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় দুই জেলে পরিবারের আবাসন প্রকল্পের বসতঘরের আসবাবপত্র ছিনিয়ে নিয়ে দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে সুদ ব্যবসায়ী ওই ইউনিয়নের সংরক্ষিত ইউপি সদস্য রহিমা বেগমের বিরুদ্ধে। দুই জেলে পরিবারে পুরুষ না থাকার সুযোগে নারী ও শিশুদের মারধর করে ঘর থেকে বের করে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিরুপায় হয়ে অন্যদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে জেলে নিবর ও শরিফ পরিবারের দুই শিশুসহ ৫ সদস্য। গত ৭দিন ধরে প্রতিবেশীর বাড়িত আশ্রিত হয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন দুই জেলে পরিবার। ঘটনার পরপরই ৯৯৯ নম্বর ফোন দিয়ে সাহায্য চাইলে দক্ষিণ আইচা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী জেলে পরিবারের সদস্যরা। শনিবার ভুক্তভোগী জেলে নিরব মাঝি অভিযোগ করেন, তারা দুই ভাই। তিনি এবং ছোট ভাই শরিফ পেশায় জেলে। মেঘনার ভাঙনে ভিটে বাড়ি হারিয়ে বসতি গড়েছেন দক্ষিণ আইচা থানার চরমানিকা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে আবাসন প্রকল্পের ঘরে। মৎস্য ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধি করতে স্থানীয় সংরক্ষিত ৪.৫.৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রহিমা বেগমের কাছ দুই ভাই মিলে ২ লাখ টাকা ব্যবসার কামিশন হিসেবে সুদে নেন। গত ইলিশ মৌসুমে সুদের কিছু টাকা পরিশোধ করেছি। গত ইলিশ মৌসুমে লোকসান হওয়ায় ওই টাকা পরিশোধ করতে পারেননি তারা। সুদের টাকা পরিশোধের জন্য ইউপি সদস্য রহিমা বেগম ও তার ছেলে রাসেল ও জামাতা কামাল দীর্ঘদিন যাবত বসতঘর ছেড়ে যেতে হুমকি দিয়ে আসছিলেন। গত ৬ মার্চ ওই ইউপি সদস্য রহিমা বেগম ও তার ছেলে এবং মেয়ের জামাতা মিলে নারী ও শিশুদের মারধর করে বসতঘর থেকে বের করে দেয়। এবং ঘরের থাকা মামলামাল লুটে নিয়ে বসতঘরে তালা ঝুলিয়ে দেয়া তারা। এনিয়ে দক্ষিণ আইচা থানায় অভিযোগ করলেও সুদ ব্যবসায়ী রাহিমা বেগম প্রভাবশালী হওয়ায় কোন ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। গত ৭দিন যাবত পরিবার পরিজন নিয়ে প্রতিবেশীর বাড়িত আশ্রয় নিয়েছেন তাদের দুই পরিবার। অভিযুক্ত ইউপি সদস্য রাহিমা বেগম জানান, ওই দুই জেলে নিরব ও শরিফ আমার মেয়ে এবং আমার কাছ থেকে কমিশন সুদে টাকা নেয়। কিন্তু বছর ঘুরে গেলেও টাকার ফেরৎ দেয়নি। তারা আত্মগোপনে চলে গেলে তাদের স্ত্রীরা ও ইচ্ছেকৃত ভাবে তাদের ঘরে তালা দিয়ে আমারকে চাবি দিয়ে চলে যায়। আমি সুদের টাকার জন্য ঘরে তালা দেয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। দক্ষিণ আইচা থানা পুলিশের ওসি মো. হারুন অর রশিদ জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
Leave a Reply